প্রাথমিক বিজ্ঞান
বেঁচে থাকার জন্য আমাদের পানির প্রয়োজন। উদ্ভিদও খাদ্য তৈরিসহ নানা কাজে পানি ব্যবহার করে
তৃতীয় অধ্যায়
জীবনের জন্য পানি
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১। উদ্ভিদ মাটি থেকে কিছু উপাদান শোষণ করে। এ উপাদানগুলো কী কী?
উত্তর : উদ্ভিদ মাটি থেকে পানি ও পুষ্টি উপাদান শোষণ করে।
২। আমরা বিভিন্নভাবে উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল। এ উদ্ভিদ থেকে আমরা কী পাই?
উত্তর : উদ্ভিদ থেকে আমরা কাঠ, পাতা ও ফলমূল পাই।
৩। আর্সেনিক কী?
উত্তর : আর্সেনিক হলো বিষাক্ত পদার্থ, যা মাটির নিচে আর্সেনিকের খনিজ হিসেবে থাকে।
৪। কিভাবে পানি দূষিত হয়, তার দুটি কারণ লেখো।
উত্তর : পানিদূষণের দুটি কারণ হলো—
১. কল-কারখানার ক্ষতিকর বর্জ্য পানিতে ফেলা।
২. পয়োনিষ্কাশন, কাপড় ধোয়া, গোসল ইত্যাদির মাধ্যমে পানি দূষিত হয়।
৫। পানি পুরোপুরি নিরাপদ করতে হলে কী করতে হবে?
উত্তর : পানি পুরোপুরি নিরাপদ করতে হলে ফুটাতে হবে।
৬। হ্যালোজেন ট্যাবলেট কখন ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : বন্যা বা জলোচ্ছ্বাসের সময় যখন ফুটিয়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায় না, তখন হ্যালোজেন ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়।
৭। কোন প্রক্রিয়ায় জলীয় বাষ্প মেঘে পরিণত হয়?
উত্তর : ঘনীভবন প্রক্রিয়ায় জলীয় বাষ্প মেঘে পরিণত হয়।
৮। দুটি পানিবাহিত রোগের নাম লেখো।
উত্তর : দুটি পানিবাহিত রোগের নাম—
১. ডায়রিয়া, ২. আমাশয়
৯। পানি শোধনের দুটি উপায় লেখো।
উত্তর : পানি শোধনের দুটি উপায় হচ্ছে ছাঁকন ও থিতানো।
১০। ছাঁকন কী?
উত্তর : ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে পানি পরিষ্কার করার প্রক্রিয়াই হলো ছাঁকন।
১১। মানবদেহের কত শতাংশ পানি?
উত্তর : মানবদেহের ৬০-৭০ শতাংশ পানি।
১২। কোন পানি কোনোভাবেই নিরাপদ করা যায় না?
উত্তর : আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের পানি কোনোভাবেই নিরাপদ করা যায় না।
১৩। বিশুদ্ধ পানির একটি উেসর নাম লেখো।
উত্তর : বিশুদ্ধ পানির একটি উেসর নাম হলো নলকূপ।
১৪। শিশির কাকে বলে?
উত্তর : রাতের বেলা ঘাস, গাছপালা ইত্যাদির ওপর যে বিন্দু বিন্দু পানি জমে তাকে শিশির বলে।
১৫। পানির তিনটি অবস্থা কী কী?
উত্তর : পানির তিনটি অবস্থা হলো—কঠিন, তরল ও গ্যাসীয়।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন
প্রশ্ন : পানিদূষণ কী? পানিদূষণের চারটি কারণ লেখো।
উত্তর : পানিদূষণ : পানিদূষণ হলো পানিতে ক্ষতিকর কোনো কিছু মিশে থাকা, যা আমাদের শরীরে রোগ সৃষ্টি করে। নিচে পানিদূষণের চারটি কারণ উল্লেখ করা হলো :
১. পুকুর বা নদীর পানিতে বাসনকোসন মাজা, গোসল করা, ময়লা কাপড় কাচা, পাট পচানো, পায়খানা-প্রস্রাব করা, প্রাণীর মৃতদেহ ফেলা প্রভৃতির ফলে পানি দূষিত হয়।
২. রোগীর মলমূত্র, বিছানাপত্র ও জামা-কাপড় পানিতে ধুলে রোগের জীবাণু মিশে পানি দূষিত করে।
৩. কল-কারখানার বর্জ্য পদার্থ পানিতে ফেললে।
৪. কৃষিকাজে ব্যবহৃত অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে খাল-বিল ও নদীর পানির সঙ্গে মিশে পানি দূষিত করে।
প্রশ্ন : রিপনদের পুকুরের পানি গ্রীষ্মকালে শুকিয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কানায় কানায় ভরে যায়। পানির এরূপ পরিবর্তন কোন প্রক্রিয়াটির জন্য হয়? এ প্রক্রিয়াটির চারটি ধাপ উল্লেখ করো।
উত্তর : পুকুরের পানিতে সময়ের তারতম্যে যে পরিবর্তন দেখা যায় তা মূলত পানিচক্রের কারণেই হয়।
পানিচক্রের চারটি ধাপ নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. সূর্যের তাপে পুকুর, খাল-বিল, নদী ও সমুদ্রের পানি জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়।
২. জলীয় বাষ্প বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকে উঠে ঠাণ্ডা হওয়ার পর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানিকণায় পরিণত হয়।
৩. ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানিকণা একত্র হয়ে আকাশে মেঘ হিসেবে ঘুরে বেড়ায়।
৪. মেঘের পানিকণাগুলো একত্র হয়ে যখন বড় আকার ধারণ করে, তখন বৃষ্টিরূপে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়।
দিলারা ইয়াছমীন, সহকারী শিক্ষক,
আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মতিঝিল, ঢাকা
EmoticonEmoticon