জেএসসি পরীক্ষা: চূড়ান্ত মডেল টেস্ট

বাংলা ১ম পত্র (সৃজনশীল)

জেএসসি পরীক্ষা: চূড়ান্ত মডেল টেস্ট-২

১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:২৭  

সময়: ২ ঘণ্টা, পূর্ণমান: ৬০
[প্রতি বিভাগ থেকে ২টি করে মোট ৬টি
প্রশ্নের উত্তর করবে]
গদ্যাংশ
১। ‘মহেশ’ গফুরের পোষা গরু। মাঠ-ঘাট চৌচির হয়ে গেছে; গফুরের নিজেরও কোনো সাধ্য ছিল না মহেশকে খাবার দেওয়ার মতো কিছু। গ্রামে যাদের গোখাদ্য ছিল তারাও তা দেয়নি বরং তাদের বাগানের কোনো কিছু খাওয়াতে মহেশকে খোঁয়াড়ে দেওয়া হয়। একাধিকবার ক্ষুধায় যন্ত্রণায় কাতর মহেশ অন্যের বাগানে গেলে ও মেয়েকে আঘাত করলে গফুর তিক্ত হয়ে মহেশকে হত্যা করে। গোহত্যার বিচারের ভয়ে রাতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ‘সেই বাবলা তলায় আসিয়া নক্ষত্র খচিত কালো আকাশে মুখ তুলিয়া বলিল, আল্লাহ! আমাকে যত খুশি সাজা দিয়ো, কিন্তু মহেশ আমার তেষ্টা নিয়ে মরেছে। তার চরে খাওয়া এতটুকু জমি কেউ রাখেনি। যে তোমার দেওয়া মাঠের ঘাস, তোমার দেওয়া তেষ্টার জল তাকে খেতে দেয়নি, তার কসুর তুমি কখনো মাফ কোরো না।’
ক. হলদে রঙের একজোড়া বেনে বৌ পাখি কোথায় প্রত্যহ হাজিরা হেঁকে যেত?
খ. ‘অতিথি’র চোখ ভিজে ভিজে হয়েছিল কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের মূল বৈসাদৃশ্য কোথায়—আলোচনা করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকের প্রেক্ষাপট ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পেরই মূল সুর’—মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
২। পৃথিবীর প্রতিটি স্বাধীন দেশে একজন নেতা থাকেন, যিনি সে দেশের স্বাধীনতার অন্যতম উদাহরণ। ভারতের মহাত্মা গান্ধী, দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা, আমেরিকার আব্রাহাম লিংকন—এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা তাঁদের স্বীয় প্রতিভার বলে নিজ দেশকে স্বাধীন করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য রয়েছে এমন একজন ব্যক্তিত্বের নাম, যিনি ধ্যানে, জ্ঞানে, প্রজ্ঞায় এ দেশের সবকিছুকে আপন করে ছিলেন ‘আমার’ বলে। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
ক. জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান কত সালে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি পান?
খ. ‘বাংলার ইতিহাস এ দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস’—কথাটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কোন বৈশিষ্ট্যটি ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ রচনায় ফুটে উঠেছে—ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘মহাত্মা গান্ধী, নেলসন ম্যান্ডেলা, আব্রাহাম লিংকনের মতোই বঙ্গবন্ধু চিরন্তন আদর্শের অনুপ্রেরণা’—মন্তব্যটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ করো।
৩। বাংলাদেশের মুনি-ঋষি আর অলি-গাজির পীঠস্থান,
হেথায় মন্দিরে বাজে শঙ্খ-ঘণ্টা মসজিদে আজান।
আমাদের ধন, করেছে লুণ্ঠন, বেনিয়ারা হায়,
প্রতিবাদ তবু না করে কেউ কেউ দাসত্ব করেছি পায়।
দেড় শ বছর করেছেন সংগ্রাম হাজারো বাঙালি বীর,
সূর্যসেন, ক্ষুদিরাম, বাঁশের কেল্লার তিতুমীর।
বাংলা আমার ভাষা, বাংলাদেশ আমার মাতা
দিয়েছে ধন-ঐশ্বর্য, গাছপালা রোদে দিয়েছে ছাতা।
ক. কাজী নজরুল ইসলামকে কত সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়?
খ. বাঙালি আজ সকলের দ্বারে ভিখারি কেন?
গ. ‘বাঙালির বাংলা’ প্রবন্ধের যে ভাবটি উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে, তার বর্ণনা দাও।
ঘ. ‘উদ্দীপকে বর্ণিত বাঙালির দাসত্ব ও বীরত্ব “বাঙালির বাংলা” প্রবন্ধেরই সংক্ষিপ্ত রূপ’—বক্তব্যটি মূল্যায়ন করো।
কবিতাংশ
৪। অংশ-১: আমি কারে কিবা বলি ওরে/ দিশে না মেলে।/ লোকে বলে লালন ফকির/ কোন জাতের ছেলে/ ছেদদণ্ড জড়ায়ে ধরে/ এক একেশ্বর সৃষ্টি করে।/ আগাম-নিগম চরাচরে/ তাইতে জাত ভিন্ন বলে/ জগৎ জুড়ে জাতের প্রমাণ/ হিন্দু, যবন, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান।/ তাতে কি হয় জাতের প্রমাণ/ শাস্ত্র খুঁজিলে?
অংশ-২: সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে।/ লালন কয়, জেতের কী রূপ, দেখলাম না এ নজরে।।/ কেউ মালা, কেউ তসিব গলায়,/ তাইতে কী জাত ভিন্ন বলায়,/ যাওয়া কিংবা আসার বেলায়/ জেতের চিহ্ন রয় কার রে... লালন সে জেতের ফাতা/ বিকিয়েছে সাত বাজারে।।
ক. লালন শাহ কী জাতীয় কবি?
খ. ‘যাওয়া কিংবা আসার বেলায়/ জেতের চিহ্ন রয় কার রে’—কথাটি ব্যাখ্যা করো।
গ. অংশ-১-এর সঙ্গে অংশ-২-এর জাত শব্দটির সম্পর্কগত সাদৃশ্য তুলে ধরো।
ঘ. উদ্দীপক দুটিতে লালন ফকির কীভাবে মানবধর্মের জয়গান করেছেন—বিশ্লেষণ করো।
৫। চিত্রগুলো দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও।


ক. জীবনানন্দ দাশের কবিতা কিসের বিচিত্র প্রকাশ পেয়েছে?
খ. কবি বাংলায় আবার ফিরে আসতে চান কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় অংশের সঙ্গে ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় প্রাকৃতিক বৈসাদৃশ্য কোথায়—আলোচনা করো।
ঘ. ‘উদ্দীপক-১-এর প্রকৃতি প্রেমই “আবার আসিব ফিরে” কবিতার কবির দেশপ্রেম’—বিশ্লেষণ করো।
৬। সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে!/
সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে;
সতত (যেমতি লোক নিশার স্বপনে/
শোনে মায়া-মন্ত্রধ্বনি) তব কলকলে
জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে!/
বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে,
কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?/
দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে।
আর কি হে হবে দেখা? —
যত দিন যাবে,/ প্রজারূপে রাজরূপ সাগরেরে দিতে
বারি-রূপ কর তুমি; এ মিনতি, গাবে/
বঙ্গজ জনের কানে, সখে, সখা-রীতে/ নাম তার, এ প্রবাসে মজি প্রেম-ভাবে/
লইছে যে তব নাম বঙ্গের সংগীতে।
ক. ‘তামরস’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘সেই ধন্য নরকুলে লোকে যারে নাহি ভোলে’—কথাটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের কবিতার সঙ্গে ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার সাদৃশ্য তুলে ধরো।
ঘ. ‘উদ্দীপকের কবিতা ও “বঙ্গভূমির প্রতি” কবিতার কাব্যভাবনা এক ও অভিন্ন’—বিশ্লেষণ করো।
আনন্দ পাঠ
৭। একজন বৃদ্ধ সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে একটি দোকান তৈরি করেছিল। করিম বখ্শ নামের একজন কর্মচারী রেখে তিনি একদিন গেলেন কিন্তু আর ফিরে এলেন না। এমন করে ১০ বছর কেটে গেল, দোকান পরিচালনা করতে করতে করিম লাভের টাকা দিয়ে আরও দোকান বাড়িয়ে ফেলল। এক বৃদ্ধ কিছুদিন পর করিম নামের ওই ছেলেকে খোঁজ করছিল। করিম তাকে চিনল এবং বলল আপনি কোথায় ছিলেন এত দিন। আমি আপনার অপেক্ষায় ছিলাম। তখন সে দোকানের চাবি বৃদ্ধের হাতে তুলে দিল। বৃদ্ধের দুচোখ দিয়ে গড়গড় করে অশ্রু পড়তে দেখা গেল।
ক. বাগদাদের শাসকের নাম কী ছিল?
খ. ‘কিশোর কাজি’ গল্পে খলিফা এবং উজির অবাক হয়েছিলেন কেন?
গ. উদ্ধৃতির করিম ও গল্পের নাজিমের আচরণের বৈপরিত্য তুলে ধরো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘কিশোর কাজি’ গল্পের মূলভাব নির্দেশ করে কি-না—তোমার স্বপক্ষে যুক্তি দাও।
৮। একজন ভিক্ষুককে রাজপ্রাসাদে বসবাসের স্থান করে দেওয়া হলে সে অনেক সমস্যায় পড়বে। তার জীবন সহজ, স্বাভাবিক ও স্বচ্ছন্দ থাকবে না। ঠিক একইভাবে একজন রাজকুমারকে যদি ভিক্ষুকের জীবনে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে সেই জীবন সুখের হবে না। প্রতি মুহূর্তে তাকে নানা দুর্বিপাকে পড়তে হবে। এ জন্যই হয়তো বলা হয়, ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’।
ক. ‘রাজকুমার ও ভিখারির ছেলে’ গল্পের রাজকুমারের নাম কী?
খ. রাজকুমারের সংকটাপন্ন জীবনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
গ. উদ্ধৃতির অংশটি ‘রাজকুমার ও ভিখারির ছেলে’ গল্পের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কিত—আলোচনা করো।
ঘ. ‘রাজকুমার ও ভিখারির ছেলে’ শীর্ষক গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো যে ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’।
৯। নক্ষত্র অনেক দিন হতে সাগর ঝড়ের কবলে পড়ে হারিয়ে একটি দ্বীপে আছে। অনেক দিন পর সে একই ভাবে তিনজন লোককে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় সাগরে দেখল। ওদের সব কথা শুনে নিজের দ্বীপে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে সম্মত হলো, কিন্তু শর্ত হবে যে তারা এখানে সবাই তার বশ্যতা স্বীকার করে নেবে এবং কখনো কেউ রবিনসনের বিরোধিতা করবে না। এই শর্তের কারণটাও নক্ষত্র ওদের বুঝিয়ে বলল, তা হলো, মানুষের সাধারণত স্বভাব হচ্ছে এমন, বিপদের সময় যে উপকার করে, বিপদ কেটে গেলে উপকারীর অপকার করতে ওই মানুষের মনে বাধে না। এ ক্ষেত্রে বনের পশু বরং উত্তম প্রাণী।
ক. নিঝুম দ্বীপে রবিনসনের প্রথম সঙ্গী কে হয়েছিল?
খ. রবিনসনকে মুকুটবিহীন রাজা বলার কারণ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের নক্ষত্র এবং ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের রবিনসনের কোন পরিস্থিতির মিল লক্ষ করা যায়—আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের নক্ষত্রের চেয়ে ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের রবিনসন বেশি দুঃসাহসী—বিশ্লেষণ করো।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »