বাংলা প্রথমপত্র
মো. সুজাউদ দৌলা
প্রভাষক, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা
অনুধাবনমূলক
সুখী মানুষ (নাটিকা)
প্রশ্ন-১ । মোড়ল সুবর্ণপুরের মানুষদের ওপর কীরকম অত্যাচার করেছে?
উত্তর: মোড়ল সুবর্ণপুরের মানুষকে ঠকিয়ে, জোর করে তাদের জীবিকার মূলধন কেড়ে নিয়ে তাদের ওপর অত্যাচার করেছে। মোড়ল একজন অত্যাচারী, কঠোর মানুষ। সে গ্রামের মানুষের গরু কেড়ে নিয়েছে। কারও ধান লুট করেছে। কারও-বা মুরগি জবাই করে খেয়েছে। এসব মানুষদের সর্বস্বান্ত করে সে ধনী হয়েছে আবার তাদের দুঃখ দেখে হেসেছে। এভাবেই সে সবার ওপর অত্যাচার করেছে।
প্রশ্ন-২। ‘অন্যের মনে দুঃখ দিলে কোনোদিন সুখ পাবে না’ — হাসু একথা কেন বলেছে?
উত্তর: মোড়ল অন্যকে কষ্ট দিত এবং অন্যের কষ্টে হাসত। তাই হাসু মোড়লকে উক্তিটি করেছিল। মোড়ল সবসময় অপরকে কষ্ট দিয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করেছে। সবাইকে অত্যাচার করত সে, এমনকী হাসুর মুরগিও জবাই করে খেয়েছে সে। তাই যন্ত্রণাকাতর অবস্থায় যখন সে নিজের জন্যে সুখ প্রার্থনা করছিল, তখন হাসু একথা বলেছিল।
প্রশ্ন-৩। কবিরাজ কেন সুখী মানুষের জামা সংগ্রহকে কঠিন কাজ মনে করেছে?
উত্তর: প্রকৃতপক্ষে সুখী মানুষ খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই কবিরাজ সুখী মানুষের জামা সংগ্রহকে কঠিন কাজ মনে করেছে। প্রত্যেক মানুষেরই কিছু না কিছু নিয়ে অতৃপ্তি থাকে। বস্তুত কেউই সম্পূর্ণ তৃপ্ত হতে পারে না। তাই এ সমাজে কেউই সুখী নয়। কবিরাজ তাই সুখী মানুষের জামা সংগ্রহকে পাহাড়, সমুদ্র, নক্ষত্র, বাঘের চোখ আনার চেয়েও কঠিন মনে করেছে।
প্রশ্ন-৪। কাঠুরিয়া লোকটি নিজেকে সুখী মনে করে কেন?
উত্তর: কাঠুরিয়া লোকটির চাওয়া এবং পাওয়া সবকিছুই তার সাধ্যের মধ্যে। তাই সে নিজেকে সুখী মনে করে। কাঠুরিয়া লোকটির কোনো দুঃখ নেই। সে সারাদিন বনে কাঠ কেটে যা উপার্জন করে তা দিয়ে চাল, ডাল কিনে খায় এবং রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। তার কোনো চিন্তা নেই, চাহিদা নেই, কিছু হারানোর ভয় নেই, চুরি হওয়ারও ভয় নেই। তাই সে নিজেকে সুখী মনে করে।
প্রশ্ন-৫। মোড়লের সমস্যার সমাধান হলো না কেন?
উত্তর: সুখী মানুষের জামা খুঁজে পাওয়া যায় নি বলে মোড়লের সমস্যার সমাধান হয় নি। অত্যাচারী নিষ্ঠুর মোড়লের রোগ সারাবার একমাত্র উপায় ছিল একজন সুখী মানুষের জামা তাকে পরানো। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজির পর যে সুখী মানুষ পাওয়া গেল তার কিছুই ছিল না। এমনকী গায়ের জামাও না। আর তাই মোড়লের সমস্যার সমাধান হলো না।
EmoticonEmoticon