জে এস সি পরিক্ষা ২০১৬ বাংলা প্রথমপত্র

বাংলা প্রথমপত্র

মো. সুজাউদ দৌলা
প্রভাষক, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা

অনুধাবনমূলক

গদ্য : এবারে সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম

প্রশ্ন-১। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক ভাষণ বলা হয় কেন?

উত্তর: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত বলে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক ভাষণ বলা হয়।

বাঙালি জাতির এক চরম সন্ধিক্ষণে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তত্কালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। এই ভাষণে স্বাধীনতার জন্য সকল নাগরিককে ত্যাগের মন্ত্রে প্রস্তুত  থাকার কথা বলা হয়েছে। এই ভাষণ থেকেই জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পেয়েছে বলে একে ঐতিহাসিক ভাষণ বলা হয়।

 

প্রশ্ন-২। “রক্ত যখন দিয়েছি, আরও দেব ” বলতে কী বুঝানো হয়েছে?

উত্তর: রক্ত যখন দিয়েছি, আরও দেব — এ কথাটি দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে রাজপথে রক্ত ঝরিয়ে বাঙালিকে  ভয় দেখানো যাবেনা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের সতর্ক করে দিয়েছেন, রাজপথে আন্দোলনরত বাঙালিকে হত্যা করে আন্দোলন দমানো যাবে না। বাঙালি একবার যখন রক্ত দিতে শিখেছে তখন দেশের প্রয়োজনে বারবার রক্ত দিতেও দ্বিধা বোধ করবে না। কারণ বাঙালি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতে জানে না।

প্রশ্ন-৩। “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” — কথাটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের মধ্য দিয়ে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছিল।

মানুষের প্রতি অন্তহীন ভালোবাসা থেকে শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। অবিচার ও মানুষের প্রতি বৈষম্য তাঁকে বিচলিত করেছে প্রতিকক্ষণ। ফলে কারবারণসহ নানারকম নির্যাতন সহ্য করেও মানবতার পক্ষে তাঁদের সংগ্রাম ছিল অব্যাহত। এক্ষেত্রে নেলসন ম্যান্ডেলার মানবতাবাদী ও আপসহীন গুণাবলি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়।

 

প্রশ্ন-৪। আবেগে, বক্তব্যে, দিকনির্দেশনায় ঐ ভাষণটি ছিল অনবদ্য — ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তির জন্য বাঙালির করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিয়ে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।

বাঙালির অধিকার আদায় এবং মুক্তির সংগ্রাম ছিল ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালির মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের আহ্বান জানান। যুদ্ধকালীন এবং যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা ছিল বঙ্গবন্ধুর আবেগভরা এ ভাষণে।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »