দশম শ্রেণি : রসায়ন

সৃজনশীল প্রশ্ন 

মোঃ আব্দুল মোত্তালেব, 
সহকারী অধ্যাপক বিএএফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোল, ঢাকা। 
 
দশম শ্রেণি : রসায়ন
উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : 
অনুসন্ধান ও গবেষণাকাজের বিভিন্ন ধাপ আছে। যেমন— 
 (১) পরিকল্পনা প্রণয়ন করা; 
(২) বিষয়বস্তু নির্ধারণ বা সমস্যা চিহ্নিত করা;  
(৩) বিষয়বস্তু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করা।  

 (ক) জীববিজ্ঞানের বিষয় কী? 
উত্তর : প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ নামক জীব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে আমাদের খাদ্য সঞ্চয় হয়। আবার জীবদেহ বিভিন্ন জটিল অণু যেমন—প্রোটিন, চর্বি, ক্যালসিয়ামের যৌগ, ডিএনএ (DNA) প্রভৃতি দ্বারা গঠিত। জীবের জন্ম ও বৃদ্ধি জীব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সাধিত হয়, যা জীববিজ্ঞানের বিষয়। 
  
(খ) কাপড়কে আকর্ষণীয় করে তুলতে কত বছর আগে রঙের ব্যবহার শুরু হয়েছিল? আলকেমি কী?

 উত্তর : কাপড়কে আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে রঙের ব্যবহার শুরু হয়েছিল। প্রাচীন ও মধ্য যুগীয় রসায়নচর্চা আলকেমি নামে পরিচিত। ‘আলকেমি’ শব্দটি আরবি আলকেমিয়া থেকে উদ্ভূত, যা দিয়ে মিসরীয় সভ্যতাকে বোঝানো হতো।  

 (গ) উদ্দীপকের (১) নম্বর ধাপটি অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ার কোন ধাপ? 
উত্তর : উদ্দীপকের (১) নম্বর ধাপটি গবেষণা প্রক্রিয়ার তৃতীয় ধাপ। এ ধাপে বিষয়বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান ও অনুমিত সিদ্ধান্ত গঠন কাজের পরিকল্পনা প্রণয়নকে সহজতর করে। অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ার সুবিধার্থে পরিকল্পনা প্রণয়ন এলোমেলোভাবে না করে ক্রমানুসারে করা বাঞ্ছনীয়। কোনো পরীক্ষণের ফলাফল সম্পর্কে আগেই ধারণা থাকলে প্রাপ্ত ফলাফল নিয়ে অযথা কৌতূহল সৃষ্টি হবে না। তাতে করে কাজের পরের ধাপটিতে অগ্রসর হওয়া দ্রুত ও সহজ হবে। এ ছাড়া ফলাফল সম্পর্কে আগাম ধারণা করতে পারলে কাজের পরিকল্পনা প্রণয়নেও সুবিধা হয়।

 (ঘ) উদ্দীপকের (২) নম্বর ও (৩) নম্বর ধাপটি অনুসন্ধান ও গবেষণাকাজের কোন ধাপ? ধাপ দুটির তুলনামূলক আলোচনা করো। 
উত্তর : বিষয়বস্তু নির্ধারণ বা সমস্যা চিহ্নিত করা অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ। এ ধাপে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, যা সমাজ তথা মানবকল্যাণে দরকার বা ভবিষ্যতে দরকার হতে পারে এমন চিন্তা করে অনুসন্ধান ও গবেষণার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়; যেমন পৃথিবীতে সুপেয় পানির মারাত্মক সংকট। তাহলে সুপেয় পানির অনুসন্ধান করা এবং পানির অন্যান্য উৎস থেকে সুপেয় পানি পাওয়ার জন্য গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বটে। আবার পৃথিবীতে খনিজ জ্বালানি যেমন—প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদির মজুদ কমে আসছে এবং বলা হয় যে আগামী ১০০ বছরে তা ফুরিয়ে যাবে। ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে বিকল্প জ্বালানি অনুসন্ধান ও গবেষণা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিষয়বস্তু নির্ধারণের সময় পরিবেশ, সামাজিক আচার বা ধর্মীয় অনুভূতির কথাও বিবেচনা করা হয়। অপরপক্ষে বিষয়বস্তু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করা হলো দ্বিতীয় ধাপ। এ ধাপে অনুসন্ধান ও গবেষণার ফলে উদ্ভাবিত বস্তু মানবকল্যাণ ছাড়া আর কোন কোন কাজে ব্যবহৃত হতে পারে, প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত পদার্থ স্বাস্থ্য ও পরিবেশের কী ক্ষতি করতে পারে, অনুসন্ধান ও গবেষণার বিভিন্ন ধাপের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সম্পর্কে এবং পরীক্ষার সময় যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো যথেষ্ট জ্ঞানার্জন ও দক্ষতা আবশ্যক।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »