হাতি আর শেয়ালের গল্প
প্রশ্ন-১। অনেক দিন আগে মানুষ কী শিখছিল?
উত্তর: অনেক দিন আগে মানুষ যা শিখছিল: অনেক দিন আগে মানুষ সমাজে মিলেমিশে বসবাস করার কায়দাকানুন শিখছিল। তখন আজকের মতো সমাজব্যবস্থা ছিল না। কেউ বনে-জঙ্গলে বাস করত, কেউ বা বাস করত পাহাড়ের গুহায়। তখন প্রকৃতি ছিল সবুজ-শ্যামল। চারদিকে ঝোপঝাড়ে ভরা। মানুষ প্রকৃতি থেকে খাদ্য সংগ্রহ করত। বুনো জীবজন্তুর সঙ্গে লড়াই করে বাঁচত। এরপর মনুষ সামাজিক হতে শুরু করে। বন-জঙ্গল থেকে দূরে বসবাসের জন্য সমাজ গড়ে তোলে। আর পশুরা থাকে জঙ্গলে। এ রকম দিনগুলোতে মানুষ কেবল বসবাসের নিয়ম-কানুন শিখছিল।
প্রশ্ন-২। হাতিটা দেখতে কেমন ছিল?
উত্তর: হাতিটা দেখতে যেমন ছিল: বনের হাতিটা দেখতে অদ্ভুত চেহারার ছিল। হাতিটার ছিল বিশাল শরীর। তার পাগুলো বটপাকুর গাছের মতো মোটা ছিল। শুঁড় এতই লম্বা ছিল, যেন আকাশের গায়ে গিয়ে ঠেকবে। তার গায়ে যেমন অনেক শক্তি ছিল, তেমনি মেজাজটাও ছিল খারাপ। হাতিটা তার শরীর আর শক্তির জোরেই অহংকার করে। বনের মধ্যে হাতিটা ঢুকে পড়লে অন্য প্রাণী আর পাখিদের সুখ নষ্ট হয়। হাতিটার চেহারার চেয়ে স্বভাব ছিল খারাপ।
প্রশ্ন-৩। হাতিটা বনে ঢুকে কী ধরনের আচরণ করেছিল?
উত্তর: হাতিটা বনে ঢুকে যে ধরনের আচরণ করেছিল: হাতিটা বনে ঢুকেই তার শরীর আর শক্তির অহংকার দেখায়। বনের চারদিকে তোলপাড় শুরু করে। হাতিটা গলা ফাটিয়ে খুব জোরে গর্জন শুরু করে। বনের অন্য পশু ও পাখ-পাখালি হাতিটার আগমনে সুখ-শান্তি হারিয়ে ফেলে।
প্রশ্ন-৪। হাতির আস্তানায় ঢুকে শেয়াল হাতিটাকে কীভাবে, কী বলেছিল?
উত্তর: ‘হাতি আর শেয়ালের গল্প’-তে আমরা একটি অত্যাচারী হাতি ও একটি বুদ্ধিমান শেয়ালকে পাই।
হাতির আস্তানায় শেয়াল যেভাবে যা বলেছিল: শেয়াল পশুদের মধ্যে বুদ্ধিমান ছিল। বনের মধ্যে একদিন একটা হাতি প্রবেশ করে সব পশু-পাখির সুখ কেড়ে নেয়। একদিন বনের সমস্ত পশু-পাখিরা বুদ্ধি করে হাতিটার অত্যাচার থেকে একটা প্রতিকারের ব্যবস্থা করল। দায়িত্ব দেওয়া হলো বুদ্ধিমান শেয়ালকে। শেয়াল ভয়ে ভয়ে হাতিটার বসবাসের জায়গায় গেল। লেজ গুটিয়ে, হাঁটু গুটিয়ে হাতিকে সালাম দিল। তারপর বলল, হাতি মহাশয় আপনাকে বনের সব পশু-পাখি রাজা হিসেবে বরণ করে নিতে চায়।
বুদ্ধি এবং বিনয়ের ভাব থাকলে শত্রুর সঙ্গেও মেশা যায়। কৌশলে শত্রুকে ঘায়েল করা যায়।