জ্ঞা ন মূ ল ক প্র শ্ন
একাদশ অধ্যায়
চল বিদ্যুৎ
১। রোধ কাকে বলে?
উত্তর : পরিবাহীর যে ধর্মের কারণে এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহের বিঘ্ন ঘটে তাকে রোধ বলে।
২। ও’মের সূত্রটি লেখো।
উত্তর : তাপমাত্রা স্থির থাকলে কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে যে তড়িৎ প্রবাহ চলে তা ওই পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক।
৩। তড়িৎ বর্তনী কি?
উত্তর : তড়িৎ প্রবাহ চলার সমপূর্ণ পথকে তড়িৎ বর্তনী বলে।
৪। তড়িৎ বলরেখার সাথে তড়িৎ তীব্রতার সমপর্ক কী?
উত্তর : একক ক্ষেত্রফলে তড়িৎ বলরেখা বৃদ্ধি পেলে তড়িৎ তীব্রতা বৃদ্ধি পায় এবং বলরেখা হ্রাস পেলে তড়িৎ তীব্রতা হ্রাস পায়।
৫। তড়িেক্ষত্র কাকে বলে?
উত্তর : একটি চার্জিত বস্তুর চারদিকে যে অঞ্চলব্যাপী তার প্রভাব বজায় থাকে তাকে তড়িেক্ষত্র বলে।
৬। তড়িচ্চালক শক্তি কাকে বলে?
উত্তর : কোনো তড়িৎ উৎস একক ধনাত্মক আধানকে বর্তনীর এক বিন্দু থেকে উৎসসহ সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আবার ওই বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন করে তাকে ওই উৎসর তড়িচ্চালক শক্তি বলে।
৭। তড়িৎ ধারক কী?
উত্তর : কাছাকাছি স্থাপিত দুটি পরিবাহীর মধ্যবর্তী স্থানে অন্তরক পদার্থ রেখে তড়িৎ আধানরূপে শক্তি সঞ্চয় করে রাখার যান্ত্রিক কৌশলকে তড়িৎ ধারক বলে।
৮। আপেক্ষিক রোধ কাকে বলে?
উত্তর : কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একক দৈর্ঘ্য ও একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলবিশিষ্ট কোনো পরিবাহীর রোধকে আপেক্ষিক রোধ বলে।
৯। তড়িৎ ক্ষমতা কী?
উত্তর : কোনো তড়িৎ যন্ত্র বা উৎস একক সময়ে যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তি ব্যয় করে তাকে তড়িৎ ক্ষমতা বলে।
১০। তড়িৎ প্রবাহ কাকে বলে?
উত্তর : কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে আধানের প্রবাহকে তড়িৎ প্রবাহ বলে।
১১। পরিবাহী কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে খুব সহজেই তড়িৎ প্রবাহ চলতে পারে তাদের পরিবাহী বলে।
১২। রোধের বিপরীত রাশিকে কী বলে?
উত্তর : রোধের বিপরীত রাশিকে পরিবাহিতা বলে।
১৩। হারানো ভোল্ট কাকে বলে?
উত্তর : অভ্যন্তরীণ রোধের কারণে তড়িৎ প্রবাহ চলার সময় যে পরিমাণ শক্তি কোষের মধ্যে হারিয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায় তাকে হারানো ভোল্ট বলে।
১৪। চলো তড়িৎ কী?
উত্তর : ইলেকট্রনের নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহকে চলো তড়িৎ বলে।
১৫। ধাতুর ক্ষেত্রে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে রোধের পরিবর্তন কী হবে?
উত্তর : তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে ধাতুর রোধ বেড়ে যাবে।
১৬। তড়িৎ প্রবাহের প্রকৃত দিক কোনটি?
উত্তর : তড়িৎ প্রবাহের প্রকৃত দিক হলো নিম্নতর বিভব থেকে উচ্চতর বিভবের দিকে অর্থাৎ কোষের ঋণাত্মক পাত থেকে ধনাত্মক পাতের দিকে।
১৭। তড়িৎ তীব্রতা কাকে বলে?
উত্তর : তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে একটি একক ধনাত্মক আধান স্থাপন করলে সেটি যে বল লাভ করে তাকে ঐ তড়িেক্ষত্রের তড়িৎ তীব্রতা বলে।
১৮। তড়িচ্চালক শক্তির এসআই একক কী?
উত্তর : তড়িচ্চালক শক্তির এসআই একক হচ্ছে ভোল্ট।
১৯। কয়েকটি অপরিবাহীর নাম লেখো।
উত্তর : প্লাস্টিক, রাবার, কাঠ, কাচ ইত্যাদি অপরিবাহী পদার্থ।
২০। তুল্যরোধ কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বর্তনীতে ব্যবহৃত একাধিক রোধের পরিবর্তে একটি রোধ ব্যবহার করলে যদি বর্তনীর তড়িৎ প্রবাহ ও ভোল্টেজের মান অপরিবর্তিত থাকে তখন ব্যবহৃত রোধটিকে তুল্যরোধ বলে।
২১। শ্রেণি বর্তনী কাকে বলে?
উত্তর : বর্তনীতে ব্যবহৃত তড়িৎ যন্ত্রগুলো যদি এমনভাবে যুক্ত করা হয় যাতে একটির পর আরেকটি যুক্ত হয়ে একটি বদ্ধ বর্তনী তৈরি করে তবে সেই বর্তনীকে শ্রেণি বর্তনী বলে।
২২। অভ্যন্তরীণ রোধ কী?
উত্তর : কোনো পরিবাহীর উপাদানের রোধকে অভ্যন্তরীণ রোধ বলে।
২৩। তড়িৎ পরিবাহিতা কী?
উত্তর : পরিবাহকের যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হয় তাকে তড়িৎ পরিবাহিতা বলে।
২৪। তড়িৎ ক্ষমতা কাকে বলে?
উত্তর : কোনো তড়িৎ যন্ত্রের কাজ করার হারকে তড়িৎ ক্ষমতা বলে।
২৫। তড়িতের সিস্টেম লস কী?
উত্তর : বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ বিতরণের সময় বিদ্যুৎ শক্তির যে অপচয় হয় তাকে তড়িতের সিস্টেম লস বলে।
২৬। রোধের একক কী?
উত্তর: রোধের একক ওহম।
২৭। পর্যাবৃত্ত প্রবাহ কী?
উত্তর : যে তড়িৎ প্রবাহ নির্দিষ্ট সময় পরপর দিক পরিবর্তন করে তাকে পর্যাবৃত্ত প্রবাহ বলে।
২৮। তড়িৎ শক্তির একক কী?
উত্তর : তড়িৎ শক্তির একক জুল।
২৯। কোন পদার্থে মুক্ত ইলেকট্রন থাকে না?
উত্তর : অপরিবাহী পদার্থের মধ্যে মুক্ত ইলেকট্রন থাকে না।
৩০। টর্চ জ্বালালে তড়িৎ শক্তি কিসে রূপান্তরিত হয়?
উত্তর : টর্চ জ্বালালে তড়িৎ শক্তি আলো ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
Source: kalerkantho.com
EmoticonEmoticon