পেয়েছি সেই সব শহিদের জীবনের বিনিময়ে। তাঁদের কাছে আমরা ঋণী। এ ঋণ শোধ করতে হলে আমাদের নিজেদের স্বার্থচিন্তার পরিবর্তন করতে হবে। দেশের কল্যাণের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। নিজেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা যদি দেশের সার্বিক কল্যাণ সাধন করতে পারি, তবেই শহিদদের ঋণ শোধ করা সম্ভব।
প্রশ্ন: কোন দিনটিকে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়? কেন পালন করা হয়?
উত্তর: ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালি নিহত হয়। এর মধ্যে অনেক শক্তিমান, যশস্বী ও প্রতিভাবানকে ধরে নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর হত্যা করা হয়। তাই প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বরকে আমরা ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালন করি।
প্রশ্ন: কোন দিনটিকে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়? কেন পালন করা হয়?
উত্তর: ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালি নিহত হয়। এর মধ্যে অনেক শক্তিমান, যশস্বী ও প্রতিভাবানকে ধরে নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর হত্যা করা হয়। তাই প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বরকে আমরা ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালন করি।
প্রশ্ন: আমরা কেন চিরদিন শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করব?
উত্তর: মাতৃভূমির বিপদে যাঁরা এগিয়ে আসেন, তাঁরা আমাদের কাছে চিরস্মরণীয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। এই যুদ্ধ ও স্বাধীনতা লাভের পেছনে অনেক মহান মানুষের অসীম অবদান রয়েছে। চিন্তা, বুদ্ধি, মেধা, সময় ও অর্থ দিয়ে তাঁরা সব সময় মানুষের কল্যাণ চিন্তা করেছেন। স্বাধীনতার জন্য তাঁরা নিজেদের জীবন পর্যন্ত বিলিয়ে দিয়েছেন। আমরা তাঁদের চিরদিন স্মরণ করব।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমরা অনেক মানুষকে হারিয়েছি। তাঁরা দেশ ও মাতৃভাষার জন্য ত্যাগের মহান আদর্শ স্থাপন করে গেছেন। আমরা সেই আদর্শকে অনুসরণ করব। নিজেদের আদর্শ মানুষরূপে গড়ে তোলার জন্য সেই সব মানুষকে আমরা আদর্শরূপে গ্রহণ করব। এ জন্যই তাঁদের আমরা স্মরণ করে যাব।
প্রশ্ন: কে, কখন প্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান?
উত্তর: বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম দাবি জানান ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। বাংলাদেশ ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানিদের সঙ্গে একত্র ছিল। আর তখন একটাই গণপরিষদ কার্যকর হতো। সেটি হলো পাকিস্তান গণপরিষদ।
যেহেতু বাংলাদেশের সব মানুষের ভাষা ছিল বাংলা, তাই ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান গণপরিষদে দাবি জানান যে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হোক। মূলত বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার এটাই প্রথম দাবি ছিল।
# বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল
সিনিয়র শিক্ষক
আন-নাফ গ্রিন মডেল স্কুল, ঢাকা
EmoticonEmoticon