প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী মডেল টেস্ট : বাংলা
পূর্ণমান ১০০
লুৎফা বেগম, সিনিয়র শিক্ষক বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা
সময় : ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
[দ্রষ্টব্য : ডানপাশে উল্লিখিত সংখ্যা প্রশ্নের পূর্ণমান জ্ঞাপক।]
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :
আনন্দপুর গ্রামের উত্তর দিকে আট-দশ ঘর বসতবাড়ি। এ নিয়ে কুমোরপাড়া। এখানে সবাই ব্যস্ত। কেউ মাটির তাল চাক করে সাজিয়ে রাখছেন। কেউ বা কাঠের চাকায় মাটি লাগিয়ে নানা আকারের পাত্র বানাচ্ছেন। কেউ বা এগুলো সার সার করে শুকোতে দিচ্ছেন রোদে। পাশেই রয়েছে মাটির জিনিস পোড়ানোর চুলা। উঁচু ছোট্ট ঢিবির মতো এই চুলা। মাটির পোড়া গন্ধ পাচ্ছি। আর ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ছোট ছেলেমেয়েরাও এ কাজ করছে। মামা বললেন, হাঁড়ি-কলসি ছাড়াও আমাদের দেশে একসময় সুন্দর পোড়ামাটির ফলকের কাজ হতো। এর অন্য নাম টেরাকোটা। বাংলার অনেক পুরনো শিল্প এই টেরাকোটা। নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে তৈরি করা হতো এই টেরাকোটা। শালবন বিহার, মহাস্থান গড়, পাহাড়পুর বৌদ্ধ স্তূপ ও দিনাজপুরের কান্তজির মন্দিরে এই টেরাকোটার কাজ রয়েছে। মাটির ফলকে ছবি এঁকে শুকিয়ে পোড়ানোর পর এগুলো এমন সুন্দর হয়ে ওঠে। পোড়ামাটির এই ফলক বাংলার প্রাচীন মৃিশল্প। মামা বললেন, টেরাকোটো বা পোড়ামাটির এসব কাজ এ দেশে শুরু হয়েছে হাজার বছর আগে।
১। সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো : ১–৫ = ৫
১. কুমোরপাড়া আনন্দপুর গ্রামের কোন দিকে অবস্থিত?
(ক) পূর্ব (খ) পশ্চিম
(গ) উত্তর (ঘ) দক্ষিণ
২. কুমোররা কী চাক করে সাজিয়ে রাখছেন?
(ক) শখের হাঁড়ি (খ) মাটির তাল
(গ) মাটির পুতুল (ঘ) বিভিন্ন ধরনের মাটির পাত্র
৩. কুমাররা নানা আকারের পাত্র কিভাবে বানাচ্ছেন?
(ক) কাঠের চাকায় মাটি লাগিয়ে
(খ) হাতের তলায় মাটির দলা দিয়ে
(গ) মাটির ফলকে ছবি এঁকে
(ঘ) মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে
৪. কুমারদের কাজে কারা সাহায্য করছে?
(ক) পরিবারের সব সদস্য (খ) স্ত্রী-পুত্র-পরিজন
(গ) সমস্ত গ্রামবাসী
(ঘ) ছোট ছেলেমেয়েরা
৫. কতগুলো বসতবাড়ি নিয়ে কুমোরপাড়া গড়ে উঠেছে?
(ক) চার-পাঁচ ঘর (খ) পাঁচ-ছয় ঘর
(গ) ছয়-সাত ঘর (ঘ) আট-দশ ঘর
২। নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো : ১–৫ = ৫
পুরনো, টেরাকোটা, নকশা, মৃিশল্প, শালবন বিহার
৩। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো : ১+২+২=৫
(ক) কুমোররা সার সার করে রোদে কী শুকোতে দিচ্ছেন?
(খ) মাটির জিনিস কিসে পোড়ানো হয়? সেই জিনিসটা দেখতে কেমন?
(গ) টেরাকোটা সম্পর্কে দুটি বাক্য লেখো।
৪। প্রদত্ত অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখো।
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :
বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের জন্ম ১৯৪৮ সালে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয়, তখন তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে ছিলেন। সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ত্যাগ করে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁরা চারজন জুলাই মাসের ৩ তারিখে রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের শিয়ালকোট হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় পৌঁছান। চারজন বীর সেনাকে স্বাগত জানান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী। ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরকে পাঠানো হয় ৭ নম্বর সেক্টরে। সেখান থেকে তিনি মালদহ জেলার মেহেদিপুর মুক্তিবাহিনী ক্যাম্পে যোগ দেন। তিনি এই সাব-সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। তাঁর সাহস ও ক্ষিপ্রতার কারণে আক্রমণের ধারা ছিল ভিন্ন। অনেক অপারেশনে নেতৃত্ব দিয়ে শত্রুসেনাদের খতম করেছেন তিনি। সেক্টর কমান্ডার কাজী নুরুজ্জামান তাঁর বইয়ে লিখেছেন, ‘মহিউদ্দিন ছিলেন একজন অনন্য সাধারণ দেশ প্রেমিক এবং যোগ্য সেনানায়ক। অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাদের বাঙ্কারে আক্রমণ চালিয়ে তিনি ধ্বংস করেন তাদের সুরক্ষিত বাঙ্কার। আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি সেনাদের গুলি এসে তাঁর কপালে লাগলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। বিজয় দিবসের দুই দিন আগে ডিসেম্বরের ১৪ তারিখে এই অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।’
৫। সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো : ১–৫ = ৫
১. মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?
(ক) বাবুগঞ্জ (খ) রহিমগঞ্জ
(গ) সুনামগঞ্জ (ঘ) বরিশাল
২. মুক্তিযুদ্ধের সময় জাহাঙ্গীর কোথায় ছিলেন?
(ক) বরিশাল (খ) রহিমগঞ্জ
(গ) পশ্চিম পাকিস্তান (ঘ) পূর্ব পাকিস্তান
৩. পাকিস্তানি সেনাদের বাঙ্কারে জাহাঙ্গীর কিভাবে আক্রমণ চালান?
(ক) ক্ষিপ্রতার সঙ্গে
(খ) সাহসিকতার সঙ্গে
(গ) চাতুর্যের সঙ্গে
(ঘ) সুকৌশলে
৪. মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
(ক) ১৯৪৮ (খ) ১৯৩৮
(গ) ১৯২৮ (ঘ) ১৯৫৮
৫. বিজয় দিবসের কত দিন আগে জাহাঙ্গীর মৃত্যুবরণ করেন?
(ক) পাঁচ দিন (খ) চার দিন
(গ) তিন দিন (ঘ) দুই দিন
৬। ছকে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া আছে। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করে উত্তরপত্রে লেখো : ১ী৫=৫
শব্দ - শব্দার্থ
বীরশ্রেষ্ঠ - মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য যারা সর্বশ্রেষ্ঠ
বাঙ্কার - যুদ্ধের জন্য তৈরি করা মাটির গর্ত
মুক্তিযোদ্ধা - যিনি স্বাধীনতা বা মুক্তির জন্য যুদ্ধ করেন।
মুক্তিবাহিনী - শত্রুর দখল থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করেছিল যে সেনাদল
স্বাগত - অভিনন্দন
খতম - শেষ, ধ্বংস
(ক) বাংলাদেশ সরকার সাতজনকে ্ব উপাধিতে ভূষিত করে।
(খ) কায়েসে আলী একজন ্ব।
(গ) পাকিস্তানিরা আত্মরক্ষার জন্য ্ব তৈরি করেছিল।
(ঘ) মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে ্ব।
(ঙ) আমি তোমাকে ্ব জানাই।
৭। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :
(ক) মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কী সিদ্ধান্ত নিলেন? পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি কী করলেন? তিনটি বাক্যে উত্তর লেখো। ২+৩=৫
(খ) বীর সেনাদের কে স্বাগত জানান? ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরকে কোথায় পাঠানো হয়?
সেখান থেকে তিনি কী করেন? তিনটি বাক্যে উত্তর লেখো। ২+৩=৫
(গ) ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের বীরত্ব সম্পর্কে সেক্টর কমান্ডারের মন্তব্য কী ছিল? পাঁচটি বাক্যে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের সাহসিকতার বর্ণনা দাও। ৫
৮। নিচের যুক্তবর্ণগুলো ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণের ব্যবহার দেখিয়ে একটি করে বাক্য তৈরি করো। ২–৫ = ১০
(ক) গ্ধ (খ) ষ্ম (গ) ঞ্জ (ঘ) চ্ছ (ঙ) স্ত্র
৯। উপযুক্ত স্থানে বিরাম চিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি তোমার উত্তরপত্রে লেখো : ৫
দুই বোন লাফ দিয়ে উঠে দরজা খোলে মুক্তিযোদ্ধারা আসে ভাত খায় নয়তো একটু ঘুমিয়ে নেয় রাতের অন্ধকারে আবার চলে যায়
১০। এককথায় প্রকাশ করো : ১–৫ = ৫
(ক) একের সঙ্গে অন্যের
(খ) কোনো রকম বিচার-বিবেচনা ছাড়া
(গ) প্রতিমুহূর্তে অপেক্ষা করা
(ঘ) শুয়ে আছে এমন
(ঙ) সোনালি রঙের বুনো লতা
১১। প্রদত্ত শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখো : ১–৫ = ৫
বন্ধু, প্রস্থান, কৃতজ্ঞ, হালকা, মুগ্ধ
১২। প্রদত্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :
(ক) কবিতার চরণগুলো সাজিয়ে লেখো : ৬
* ইমদাদ হক কাল যা খেলেছে কমই তা নজরে পড়ে
* দর্শক দল ফিরিয়া চলিছে মহা-কলরব করে
* মেসের চাকর হয়রান হয় পায়েতে মালিশ মাখি
* সকালে সকালে দৈনিক খুলি মহা-আনন্দে পড়ে
* ইমদাদ হক খোঁড়াতে খোঁড়াতে আসে যে মেসের ঘরে।
* বেঘুম রাত্র কেটে যায় তার চিত্কার করি ডাকি।
(খ) কবিতাংশটুকু কোন কবিতার অংশ তা লেখো। ১
(গ) কবিতাটির কবির নাম কী? ১
(ঘ) মেসের চাকর হয়রান হয় কেন? দৈনিক পত্রিকা ইমদাদ হক সম্পর্কে কী লিখেছে? ২
১৩। মনে করো, তুমি নাওমি/নাইম। পলাশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী/ছাত্র। তুমি আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চাও। এবার প্রয়োজনীয় তথ্য দ্বারা নিচের ফরমটি পূরণ করো। ৫
পলাশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ফরম
১. শিক্ষার্থীর নাম : ................
২. শ্রেণি : ...........................
৩. রোল : ...........................
৪. জন্মতারিখ : .....................
৫. যে বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক—
(ক) ............
(খ) ............
(গ) ............
১৪। মনে করো, তুমি ইকবালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী। তোমার নাম নাতাশা/নাশিদ। তুমি ছোটগল্প, রূপকথা, ছড়া, কবিতা ও কার্টুন পড়তে বেশ পছন্দ করো। তোমার বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে অধিকসংখ্যক বই সরবরাহের আবেদন জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি দরখাস্ত লেখো।
১৫। নিচের যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে ২০০ শব্দের মধ্যে একটি রচনা লেখো : ১০
(ক) শখের মৃিশল্প
[ভূমিকা, মৃিশল্প কী, মৃিশল্পের উপকরণ, ঐতিহ্যময় মৃিশল্প, উপসংহার।]
(খ) স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু
[ভূমিকা, জন্ম, শিক্ষা, কর্মজীবন, আবিষ্কার, গবেষণা, নাইট উপাধি লাভ, রচনা, মৃত্যু, উপসংহার।]
(গ) আমার জীবনের লক্ষ্য
[ভূমিকা, জীবনের মূল লক্ষ্য, পছন্দের কারণ, কর্তব্য, উপসংহার।]
(ঘ) তোমার প্রিয় শিক্ষক
[ভূমিকা, পরিচিতি, কেন প্রিয়, বিদ্যালয়ে অবদান, উপসংহার।]
পূর্ণমান ১০০
লুৎফা বেগম, সিনিয়র শিক্ষক বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা
সময় : ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
[দ্রষ্টব্য : ডানপাশে উল্লিখিত সংখ্যা প্রশ্নের পূর্ণমান জ্ঞাপক।]
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :
আনন্দপুর গ্রামের উত্তর দিকে আট-দশ ঘর বসতবাড়ি। এ নিয়ে কুমোরপাড়া। এখানে সবাই ব্যস্ত। কেউ মাটির তাল চাক করে সাজিয়ে রাখছেন। কেউ বা কাঠের চাকায় মাটি লাগিয়ে নানা আকারের পাত্র বানাচ্ছেন। কেউ বা এগুলো সার সার করে শুকোতে দিচ্ছেন রোদে। পাশেই রয়েছে মাটির জিনিস পোড়ানোর চুলা। উঁচু ছোট্ট ঢিবির মতো এই চুলা। মাটির পোড়া গন্ধ পাচ্ছি। আর ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ছোট ছেলেমেয়েরাও এ কাজ করছে। মামা বললেন, হাঁড়ি-কলসি ছাড়াও আমাদের দেশে একসময় সুন্দর পোড়ামাটির ফলকের কাজ হতো। এর অন্য নাম টেরাকোটা। বাংলার অনেক পুরনো শিল্প এই টেরাকোটা। নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে তৈরি করা হতো এই টেরাকোটা। শালবন বিহার, মহাস্থান গড়, পাহাড়পুর বৌদ্ধ স্তূপ ও দিনাজপুরের কান্তজির মন্দিরে এই টেরাকোটার কাজ রয়েছে। মাটির ফলকে ছবি এঁকে শুকিয়ে পোড়ানোর পর এগুলো এমন সুন্দর হয়ে ওঠে। পোড়ামাটির এই ফলক বাংলার প্রাচীন মৃিশল্প। মামা বললেন, টেরাকোটো বা পোড়ামাটির এসব কাজ এ দেশে শুরু হয়েছে হাজার বছর আগে।
১। সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো : ১–৫ = ৫
১. কুমোরপাড়া আনন্দপুর গ্রামের কোন দিকে অবস্থিত?
(ক) পূর্ব (খ) পশ্চিম
(গ) উত্তর (ঘ) দক্ষিণ
২. কুমোররা কী চাক করে সাজিয়ে রাখছেন?
(ক) শখের হাঁড়ি (খ) মাটির তাল
(গ) মাটির পুতুল (ঘ) বিভিন্ন ধরনের মাটির পাত্র
৩. কুমাররা নানা আকারের পাত্র কিভাবে বানাচ্ছেন?
(ক) কাঠের চাকায় মাটি লাগিয়ে
(খ) হাতের তলায় মাটির দলা দিয়ে
(গ) মাটির ফলকে ছবি এঁকে
(ঘ) মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে
৪. কুমারদের কাজে কারা সাহায্য করছে?
(ক) পরিবারের সব সদস্য (খ) স্ত্রী-পুত্র-পরিজন
(গ) সমস্ত গ্রামবাসী
(ঘ) ছোট ছেলেমেয়েরা
৫. কতগুলো বসতবাড়ি নিয়ে কুমোরপাড়া গড়ে উঠেছে?
(ক) চার-পাঁচ ঘর (খ) পাঁচ-ছয় ঘর
(গ) ছয়-সাত ঘর (ঘ) আট-দশ ঘর
২। নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো : ১–৫ = ৫
পুরনো, টেরাকোটা, নকশা, মৃিশল্প, শালবন বিহার
৩। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো : ১+২+২=৫
(ক) কুমোররা সার সার করে রোদে কী শুকোতে দিচ্ছেন?
(খ) মাটির জিনিস কিসে পোড়ানো হয়? সেই জিনিসটা দেখতে কেমন?
(গ) টেরাকোটা সম্পর্কে দুটি বাক্য লেখো।
৪। প্রদত্ত অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখো।
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :
বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের জন্ম ১৯৪৮ সালে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয়, তখন তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে ছিলেন। সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ত্যাগ করে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁরা চারজন জুলাই মাসের ৩ তারিখে রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের শিয়ালকোট হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় পৌঁছান। চারজন বীর সেনাকে স্বাগত জানান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী। ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরকে পাঠানো হয় ৭ নম্বর সেক্টরে। সেখান থেকে তিনি মালদহ জেলার মেহেদিপুর মুক্তিবাহিনী ক্যাম্পে যোগ দেন। তিনি এই সাব-সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। তাঁর সাহস ও ক্ষিপ্রতার কারণে আক্রমণের ধারা ছিল ভিন্ন। অনেক অপারেশনে নেতৃত্ব দিয়ে শত্রুসেনাদের খতম করেছেন তিনি। সেক্টর কমান্ডার কাজী নুরুজ্জামান তাঁর বইয়ে লিখেছেন, ‘মহিউদ্দিন ছিলেন একজন অনন্য সাধারণ দেশ প্রেমিক এবং যোগ্য সেনানায়ক। অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাদের বাঙ্কারে আক্রমণ চালিয়ে তিনি ধ্বংস করেন তাদের সুরক্ষিত বাঙ্কার। আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি সেনাদের গুলি এসে তাঁর কপালে লাগলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। বিজয় দিবসের দুই দিন আগে ডিসেম্বরের ১৪ তারিখে এই অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।’
৫। সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো : ১–৫ = ৫
১. মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?
(ক) বাবুগঞ্জ (খ) রহিমগঞ্জ
(গ) সুনামগঞ্জ (ঘ) বরিশাল
২. মুক্তিযুদ্ধের সময় জাহাঙ্গীর কোথায় ছিলেন?
(ক) বরিশাল (খ) রহিমগঞ্জ
(গ) পশ্চিম পাকিস্তান (ঘ) পূর্ব পাকিস্তান
৩. পাকিস্তানি সেনাদের বাঙ্কারে জাহাঙ্গীর কিভাবে আক্রমণ চালান?
(ক) ক্ষিপ্রতার সঙ্গে
(খ) সাহসিকতার সঙ্গে
(গ) চাতুর্যের সঙ্গে
(ঘ) সুকৌশলে
৪. মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
(ক) ১৯৪৮ (খ) ১৯৩৮
(গ) ১৯২৮ (ঘ) ১৯৫৮
৫. বিজয় দিবসের কত দিন আগে জাহাঙ্গীর মৃত্যুবরণ করেন?
(ক) পাঁচ দিন (খ) চার দিন
(গ) তিন দিন (ঘ) দুই দিন
৬। ছকে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া আছে। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করে উত্তরপত্রে লেখো : ১ী৫=৫
শব্দ - শব্দার্থ
বীরশ্রেষ্ঠ - মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য যারা সর্বশ্রেষ্ঠ
বাঙ্কার - যুদ্ধের জন্য তৈরি করা মাটির গর্ত
মুক্তিযোদ্ধা - যিনি স্বাধীনতা বা মুক্তির জন্য যুদ্ধ করেন।
মুক্তিবাহিনী - শত্রুর দখল থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করেছিল যে সেনাদল
স্বাগত - অভিনন্দন
খতম - শেষ, ধ্বংস
(ক) বাংলাদেশ সরকার সাতজনকে ্ব উপাধিতে ভূষিত করে।
(খ) কায়েসে আলী একজন ্ব।
(গ) পাকিস্তানিরা আত্মরক্ষার জন্য ্ব তৈরি করেছিল।
(ঘ) মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে ্ব।
(ঙ) আমি তোমাকে ্ব জানাই।
৭। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :
(ক) মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কী সিদ্ধান্ত নিলেন? পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি কী করলেন? তিনটি বাক্যে উত্তর লেখো। ২+৩=৫
(খ) বীর সেনাদের কে স্বাগত জানান? ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরকে কোথায় পাঠানো হয়?
সেখান থেকে তিনি কী করেন? তিনটি বাক্যে উত্তর লেখো। ২+৩=৫
(গ) ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের বীরত্ব সম্পর্কে সেক্টর কমান্ডারের মন্তব্য কী ছিল? পাঁচটি বাক্যে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের সাহসিকতার বর্ণনা দাও। ৫
৮। নিচের যুক্তবর্ণগুলো ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণের ব্যবহার দেখিয়ে একটি করে বাক্য তৈরি করো। ২–৫ = ১০
(ক) গ্ধ (খ) ষ্ম (গ) ঞ্জ (ঘ) চ্ছ (ঙ) স্ত্র
৯। উপযুক্ত স্থানে বিরাম চিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি তোমার উত্তরপত্রে লেখো : ৫
দুই বোন লাফ দিয়ে উঠে দরজা খোলে মুক্তিযোদ্ধারা আসে ভাত খায় নয়তো একটু ঘুমিয়ে নেয় রাতের অন্ধকারে আবার চলে যায়
১০। এককথায় প্রকাশ করো : ১–৫ = ৫
(ক) একের সঙ্গে অন্যের
(খ) কোনো রকম বিচার-বিবেচনা ছাড়া
(গ) প্রতিমুহূর্তে অপেক্ষা করা
(ঘ) শুয়ে আছে এমন
(ঙ) সোনালি রঙের বুনো লতা
১১। প্রদত্ত শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখো : ১–৫ = ৫
বন্ধু, প্রস্থান, কৃতজ্ঞ, হালকা, মুগ্ধ
১২। প্রদত্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :
(ক) কবিতার চরণগুলো সাজিয়ে লেখো : ৬
* ইমদাদ হক কাল যা খেলেছে কমই তা নজরে পড়ে
* দর্শক দল ফিরিয়া চলিছে মহা-কলরব করে
* মেসের চাকর হয়রান হয় পায়েতে মালিশ মাখি
* সকালে সকালে দৈনিক খুলি মহা-আনন্দে পড়ে
* ইমদাদ হক খোঁড়াতে খোঁড়াতে আসে যে মেসের ঘরে।
* বেঘুম রাত্র কেটে যায় তার চিত্কার করি ডাকি।
(খ) কবিতাংশটুকু কোন কবিতার অংশ তা লেখো। ১
(গ) কবিতাটির কবির নাম কী? ১
(ঘ) মেসের চাকর হয়রান হয় কেন? দৈনিক পত্রিকা ইমদাদ হক সম্পর্কে কী লিখেছে? ২
১৩। মনে করো, তুমি নাওমি/নাইম। পলাশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী/ছাত্র। তুমি আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চাও। এবার প্রয়োজনীয় তথ্য দ্বারা নিচের ফরমটি পূরণ করো। ৫
পলাশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ফরম
১. শিক্ষার্থীর নাম : ................
২. শ্রেণি : ...........................
৩. রোল : ...........................
৪. জন্মতারিখ : .....................
৫. যে বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক—
(ক) ............
(খ) ............
(গ) ............
১৪। মনে করো, তুমি ইকবালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী। তোমার নাম নাতাশা/নাশিদ। তুমি ছোটগল্প, রূপকথা, ছড়া, কবিতা ও কার্টুন পড়তে বেশ পছন্দ করো। তোমার বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে অধিকসংখ্যক বই সরবরাহের আবেদন জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি দরখাস্ত লেখো।
১৫। নিচের যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে ২০০ শব্দের মধ্যে একটি রচনা লেখো : ১০
(ক) শখের মৃিশল্প
[ভূমিকা, মৃিশল্প কী, মৃিশল্পের উপকরণ, ঐতিহ্যময় মৃিশল্প, উপসংহার।]
(খ) স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু
[ভূমিকা, জন্ম, শিক্ষা, কর্মজীবন, আবিষ্কার, গবেষণা, নাইট উপাধি লাভ, রচনা, মৃত্যু, উপসংহার।]
(গ) আমার জীবনের লক্ষ্য
[ভূমিকা, জীবনের মূল লক্ষ্য, পছন্দের কারণ, কর্তব্য, উপসংহার।]
(ঘ) তোমার প্রিয় শিক্ষক
[ভূমিকা, পরিচিতি, কেন প্রিয়, বিদ্যালয়ে অবদান, উপসংহার।]
EmoticonEmoticon