জেএসসি পরীক্ষা ২০১৬ বিজ্ঞান

প্রশ্ন : ১

উদ্দীপকটি ভালোভাবে পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

রাহিল সন্ধ্যায় মনোযোগসহকারে বই পড়ছিল। হঠাৎ করে তার পড়ার টেবিল কাঁপতে থাকে। সে ভয়ে চিত্কার করে তার মাকে ডাক দিল। মা তাকে নিয়ে কিছুক্ষণ শক্ত টেবিলের নিচে অবস্থান নিলেন এবং নড়া বন্ধ হলে বের হয়ে এলেন।

ক. পরিবেশ দূষণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ কোনটি?

খ. গ্রিনহাউস বলতে কী বোঝায়?


গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রাকৃতিক দুর্যোগটির পূর্বপ্রস্তুতি ব্যাখ্যা করো।

ঘ. উক্ত দুর্যোগে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দুর্যোগ চলাকালীন কার্যক্রম অপেক্ষা দুর্যোগ-পরবর্তী কার্যক্রম অধিক ভূমিকা পালন করে—তোমর মতামত বিশ্লেষণ করো।



উত্তর :

ক. পরিবেশ দূষণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো বন উজাড়করণ।

খ. গ্রিনহাউস হচ্ছে এক ধরনের কাচের ঘর। শীতপ্রধান বা মরুময় দেশে নির্দিষ্ট মাত্রায় তাপ ধরে রেখে বা সৃষ্টি করে মূলত উদ্ভিদ (শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি) জন্মানোর জন্য এ ধরনের ঘর তৈরি করা হয়। কাচ সূর্য থেকে আগত ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তাপশক্তি প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করে না, কিন্তু ভূপৃষ্ঠ নিঃসৃত দীর্ঘ তরঙ্গের তাপশক্তি প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করে। ফলে উদ্ভিদের প্রয়োজন অনুযায়ী তাপ কাচঘরের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে উত্তাপ বৃদ্ধি করে শীতপ্রধান অঞ্চলে উষ্ণমণ্ডলীয় ফসল এবং মরু অঞ্চলে কম তাপে জন্মে এরূপ ফসল উত্পাদন করা হয়।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রাকৃতিক দুর্যোগটি হলো ভূমিকম্প। নিম্নে এর পূর্বপ্রস্তুতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হলো :

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়। এ কারণে মানুষ যুগ যুগ ধরে দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে আছে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে অন্যতম হলো ভূমিকম্প। বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চল ভূমিকম্পের দিক থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলোকে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা বলা হয়। বাড়িতে প্রধান দরজা ছাড়াও জরুরি অবস্থায় বের হওয়ার জন্য একটি বিশেষ দরজা থাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসাসামগ্রী, হেলমেট, টর্চ প্রভৃতি মজুদ রাখতে হবে। ভূমিকম্পের সময় আশ্রয় নেওয়া যায় বাড়িতে—এমন একটি মজবুত টেবিল রাখতে হবে। ঘরের ভারী আসবাবপত্র মেঝের ওপর রাখতে হবে। ব্যবহারের পর বৈদ্যুতিক বাতি ও গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখতে হবে। ভূমিকম্পের পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করলে ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়। এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

ঘ. ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি কমাতে দুর্যোগ চলাকালীন কার্যক্রম অপেক্ষা দুর্যোগ-পরবর্তী কার্যক্রম অধিক ভূমিকা পালন করে—এই বক্তব্যের সপক্ষে তোমার মতামত নিম্নে বিশ্লেষণ করো।

ভূমিকম্প চলাকালীন আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ওই সময় কোনো শক্ত টেবিল কিংবা শক্ত কাঠের আসবাবপত্রের নিচে অবস্থান নিতে হবে। অবিলম্বে বৈদ্যুতিক সুইচ ও গ্যাসের সংযোগ বন্ধ করে দিতে হবে। বাড়ির আশপাশে যথেষ্ট পরিমাণ খোলা জায়গা থাকলে বাড়ি থেকে বের হয়ে সেখানে আশ্রয় নিতে হবে। ট্রেন, বাস বা গাড়িতে থাকলে চালককে তা থামাতে বলতে হবে। ভূমিকম্পের সময় লিফট ব্যবহার করা যাবে না। দুর্যোগ চলাকালীন এসব কার্যক্রম সবাই সময়মতো করতে পারে না, ফলে অনেক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তাই ভূমিকম্প হওয়ার পর আহত লোকজনকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সাধ্যমতো উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করতে হবে। এ ব্যাপারে ফায়ার ব্রিগেড ও অ্যাম্বুল্যান্সের সাহায্য নিতে হবে। দুর্গত মানুষের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র, খাবার ও পানির ব্যবস্থা করতে হবে। এতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমার সম্ভাবনা থাকে। তাই বলা যায়,

ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দুর্যোগ চলাকালীন কার্যক্রম অপেক্ষা দুর্যোগ-পরবর্তী কার্যক্রম অধিক ভূমিকা পালন করে—এ বক্তব্যটি যথার্থ।



প্রশ্ন : ২

উদ্দীপকটি ভালোভাবে পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

গত ২ ফেব্রুয়ারি জনসংখ্যা দিবসের একটি সেমিনারে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ের একজন গবেষক এক বক্তৃতায় বললেন, ‘আয়তনের তুলনায় অধিক জনসংখ্যা একটি দেশের উন্নয়নের অন্তরায়।’ তিনি আরো বললেন, ‘আমাদের দেশের এই জনসংখ্যাকে যদি সরকারের জনসংখ্যানীতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা যায়, তবে জনসংখ্যা দেশের জন্য বোঝা হবে না।’

 ক. জনসংখ্যা সম্পর্কে বাংলাদেশের স্লোগান কী?

খ. জনসংখ্যানীতি বলতে কী বোঝায়?

গ. নারীশিক্ষা প্রসারে সরকারের পদক্ষেপ ব্যাখ্যা করো।

ঘ. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা সংক্ষেপে আলোচনা করো।



উত্তর :

ক. জনসংখ্যা সম্পর্কে বাংলাদেশের স্লোগান হলো—‘ছেলে হোক মেয়ে হোক, দুটি সন্তানই যথেষ্ট।’

খ. সাধারণভাবে দেশের জনসংখ্যা বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, তাকেই বলা হয় দেশটির জনসংখ্যানীতি। দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নীতি প্রণয়ন করা হয়। এ নীতির লক্ষ্য হলো, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে দেশের নাগরিকদের জীবনমানের উন্নতি এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

গ. নিরক্ষরতা দূরীকরণ ও শিক্ষার হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে নারীশিক্ষার প্রসার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এ জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সরকার নারীশিক্ষা প্রসারে আরো কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেমন : প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিনা মূল্যে পাঠ্য বই সরবরাহ। তা ছাড়া ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। বিভিন্ন বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে মেয়েদের জন্য বিশেষ কোটা (সংরক্ষিত আসন) রাখা হয়েছে।

ঘ. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে সরকারের একার পক্ষে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা নিচে তুলে ধরা হলো :

১. কমিউনিটিভিত্তিক পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছোট পরিবার গঠনে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা।

২. মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দান

৩. দুটি সন্তানের পরিকল্পিত পরিবার গড়ার আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা

৪. বাল্যবিবাহ নিরোধ ও বিবাহ দেরিতে করার জন্য উদ্বুদ্ধকরণ

৫. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা

৬. জনসংখ্যা সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য সচেতনতা সৃষ্টিমূলক উপকরণ তৈরি করা

৭. স্থানীয় পর্যায়ের ধর্মীয় নেতাদর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার জন্য উদ্বুদ্ধকরণ প্রভৃতি।



প্রশ্ন : ৩

উদ্দীপকটি ভালোভাবে পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

রিফাত অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। তার বয়স ১৫ বছর। সে ধনী পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান। তার মা-বাবা তাঁদের চাকরি নিয়ে এতই ব্যস্ত থাকেন যে তাঁদের একমাত্র সন্তানটিকে এতটুকু সময় দিতে পারেন না। সে একাকী থাকার কারণে কিছু খারাপ বন্ধুর সঙ্গে মিশতে থাকে। আস্তে আস্তে সে ধূমপান করতে শুরু করে। সে লেখাপড়ায় পিছিয়ে যায়, সবার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে এবং নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে।

ক. কিভাবে মাদকাসক্তির সূত্রপাত ঘটে।

খ. বাংলাদেশে শিশু-কিশোররা অপরাধী হয়ে ওঠে কেন?

গ. উদ্দীপকে রিফাতের কার্যাবলির প্রকৃতি ব্যাখ্যা করো।

ঘ. রিফাতের এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় ব্যাখ্যা করো।



উত্তর :

ক. মাদকাসক্ত সঙ্গীদের সঙ্গে মেলামেশার মধ্য দিয়েই প্রধাণত মাদকাসক্তির সূত্রপাত ঘটে।

খ. বাংলাদেশে শিশু-কিশোররা নানা কারণে অপরাধী হয়ে ওঠে। দারিদ্র্য কিশোর অপরাধের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণকারী শিশু তাদের অনেক ইচ্ছা পূরণ করতে পারে না। এ থেকে তাদের মধ্যে হতাশা জাগে, যা একসময় তাদের অপরাধের দিকে ধাবিত করে। পিতা-মাতার প্রচণ্ড ব্যস্ততা, অসুস্ততা, মৃত্যু, বিবাহবিচ্ছেদ, ছাড়াছাড়ি, স্নেহ-বঞ্চনা, অতিরিক্ত শাসন ইত্যাদি কারণেও অনেক শিশু-কিশোর অপরাধী হয়ে ওঠে।

গ. উদ্দীপকে রিফাত বিভিন্ন কারণে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। নিম্নে তার কার্যাবলি ও এর প্রকৃতি ব্যাখ্যা করা হলো :

রিফাতের মাদকাসক্ত হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হলো নিঃসঙ্গতা ও বাবা-মায়ের অমনোযোগ। রিফাতের বাবা-মা ধনী এবং সে বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। কিন্তু তার বাবা-মা তাঁদের চাকরি নিয়ে এতই ব্যস্ত থাকেন যে তাঁরা রিফাতের খোঁজ-খবর নেওয়ার বা তাকে দেওয়ার মতো কোনো সময় বের করতে পারেন না। ফলে রিফাত সব সময় নিঃসঙ্গতা, একাকিত্ব ও হতাশায় ভোগে। আর ধীরে ধীরে সে এ অবস্থা কাটানোর জন্য খারাপ বন্ধুর সঙ্গে মিশতে শুরু করে, যারা ছিল মাদকাসক্ত। তাদের প্ররোচনায় রিফাত মাদকের খারাপ দিকগুলো না জেনেই কেবল সাময়িক উত্তেজনা লাভের জন্য ধূমপান শুরু করে। অসৎ সঙ্গের প্রভাবে সে সবার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে শুরু করে। এভাবে ধূমপানের অভ্যাস থেকেই সে পরে অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্যে আসক্ত হয়ে একপর্যায়ে নিয়মিত মাদকসেবীতে পরিণত হয়, যা তাকে আস্তে আস্তে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে।

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি, রিফাত তার পারিবারিক জীবনের নিঃসঙ্গতার কারণে অসৎ সঙ্গের সংস্পর্শে আসে এবং তার প্রভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।

ঘ. রিফাত একজন মাদকাসক্ত কিশোর। তার এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায়গুলো নিচে বিশ্লেষণ করা হলো :

আমাদের সমাজজীবনে বর্তমানে মাদকাসক্তি একটি ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। মাদকাসক্ত ব্যক্তি একাধারে শারীরিক ও মানসিক দুই ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়। মাদকাসক্তরা একদিকে যেমন হৃদরোগ, যক্ষ্মা ও ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে, তেমনি তারা সব সময় হতাশা ও হীনম্মন্যতায় ভোগে। মাদকাসক্ত ব্যক্তির পুরো পরিবারের সুখশান্তি নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিবেশীদের কাছে এ পরিবারের কোনো মর্যাদা থাকে না। মাদকের টাকার জোগান দিতে গিয়ে পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়। মাদকের হাত থেকে সমাজের মানুষকে রক্ষা করার জন্য তাই মাদকাসক্তি প্রতিরোধ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

মাদকাসক্তি থেকে উত্তরণের জন্য মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে প্রথমে সময় নিয়ে বোঝাতে হবে, তাকে সময় দিতে হবে, তার জন্য সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে, মাদকের কুফলগুলো তার সামনে তুলে ধরতে হবে, বিভিন্ন সৃজনশীল কাজের প্রতি তার আগ্রহ তৈরি করতে হবে, তাকে ভালো বন্ধুর সংস্পর্শে আসার সুযোগ করে দিতে হবে, পরিবারে সব সময় হাসিখুশি পরিবেশ বজায় রাখতে হবে, যাতে সে হতাশাগ্রস্ত না হয়। মাতকাসক্ত ব্যক্তিকে কোনোভাবেই তিরস্কার করা যাবে না। তার সঙ্গে খুবই স্বাভাবিক আচরণ করতে হবে, যাতে সে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।

এ ছাড়া মাদকাসক্তি রোধে আমাদের সন্তানদের ছোটবেলা থেকেই নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে এবং তাকে সুস্থ সংস্কৃতির চর্চায় অভ্যস্ত করে তুলতে হবে।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »