তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- ষষ্ঠ শ্রেনি

অধ্যায় -১ 

পাঠ - ২

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি আমরা ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে অধ্যয়ন করছি। বিষয়ের প্রতিটি পাঠের শেষে রয়েছে নতুন শিখলাম নামে কিছু শব্দগুচ্ছ। আমি তোমাদের সাথে সে সকল শব্দেসমূহের সচিত্র আলোচনা করব। আজকের  আলোচ্য বিষয় হলো ষষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের প্রথম অধ্যায়ের দ্বিতীয় পাঠে নতুন যা শিখলাম প্রথম অংশ
 
গ্লোবালভিলেজ: বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজ বলতে সাধারণত এমন একটি ধারণাকে বোঝানো হয় যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন নিজ দেশের সীমানা গণ্ডী পেরিয়ে ও দেশ বা অঞ্চলের পরিচিতি ছাড়া পরস্পরের সাথে সহজে যাতায়াত ও ভ্রমণ, গণমাধ্যম ও ইলেকট্রনিক যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্ত থেকে এবং ক্রমেই একটি একক কমিউনিটিতে পরিণত হয়। গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রামকে নিম্নোক্তভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়- অক্সফোর্ড আমেরিকান ডিকশনারি অনুযায়ী- “বিশ্বকে বিবেচনা করা হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত একক সমপ্রদায়। উইকিপিডিয়ার উদ্ধৃতি অনুযায়ী- “বিশ্বগ্রাম হচ্ছে একটি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কাঠামো।
 
ভার্চুয়াল:  ল্যাটিন শব্দ ভার্চু থেকে ভার্চুয়াল শব্দটি এসেছে। ভার্চুয়াল শব্দের বাংলা আভিধানিক অর্থ ‘কার্যসিদ্ধ’ বা ‘কার্যকর ক্ষমতাসম্পন্ন’। ভার্চুয়াল বলতে বোঝায় এমনকিছু যা অনুভবে আছে কিন্তু বাস্তবে নেই। “ফলতঃ বটে, কিন্তু বাহ্যতঃ নয় এমন”, বলা যায়, এটা এমন কিছু যার বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই।
 
ডিজিটাল: ইংরেজি Digit থেকে Digital শব্দের উত্পত্তি। Digit হচ্ছে noun আর Digital verb । Digit অর্থ সংখ্যা আর Digital অর্থ আঙ্গুল দিয়ে গণনা করা। মূলত ডিজিটাল এর অর্থ গণনা করা হলেও আঙ্গুল দিয়ে সংখ্যা গণনা করার মতই সহজ, তাই ডিজিটাল রুপক অর্থে ব্যবহার করা হয়।
 
 
ইলেক্ট্রনিক্স: ইলেক্ট্রনিক্স ইলেক্ট্রনিক এর বহুবচন। ইলেক্ট্রিক মানে বিদ্যুত। ইলেক্ট্রিকাল মানে যে লাইনে ইলেক্ট্রিক সরবরাহ হয়। তড়িত্ প্রকৌশলের একটি শাখা যেখানে ভ্যাকিউম টিউব, গ্যাস অথবা অর্ধপরিবাহী ...তড়িত্ প্রকৌশলের একটি শাখা যেখানে ভ্যাকিউম টিউব, গ্যাস অথবা অর্ধপরিবাহী (semiconductor) যন্ত্রাংশের মধ্য দিয়ে ইলেক্ট্রনের প্রবাহ, সীমাবদ্ধতা, ব্যবহারিক আচরণ ও প্রক্রিয়া আলোচিত হয়। ১৯০৪ সালে জন অ্যামব্রোস ফ্লেমিং দুইটি তড়িত্ ধারক (electrodes) বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ বদ্ধ কাঁচের এক প্রকার নল (vacuum tube) উদ্ভাবন করেন ও তার মধ্য দিয়ে একমুখী তড়িত্ পাঠাতে সক্ষম হন। তাই সেই সময় থেকে ইলেকট্রনিকেসর শুরু হয়েছে বলা যায়।
ডিজিটাল যুগ: কম্পিউটার আবিষ্কারের  পরেই ডিজিটাল বিষয়টি ইলেক্ট্রোনিক্স ডিভাইসে ব্যবহূত হচ্ছে। বর্তমান যুগে প্রায় সমস্ত ইলেক্ট্রোনিক্স ডিভাইসগুলিতেই ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। ইলেক্ট্রোনিক্স ডিভাইসে ডিজিটাল সিস্টেম কিভাবে ব্যবহূত হয়। আগে ইলেক্ট্রোনিক্স ডিভাইসগুলিতে এনালগ পদ্ধতি ব্যবহার করা হত। এনালগ পদ্ধতিতে তরঙ্গ বা সিগন্যাল কে ভেরিয়েবল ডিভাইস দ্বারা কমানো বাড়ানো হতো। বর্তমান যুগে সকল ইলেক্ট্রোনিক্স ডিভাইসে তরঙ্গ বা সিগন্যালকে (শব্দ, ব্রাইট, কালার ইত্যাদি) গণনার মাধ্যমে বাড়ানো কমানো হয়। এটাই ডিজিটাল। যে যুগে এটা করা হয় বা হচ্ছে সেটাই ডিজটাল যুগ।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »