তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
বিশ্ব গ্রামের ধারণা (Concept of Global Village)
ফ্লিয়াস ফগ ৮০ দিনে কীভাবে লন্ডন থেকে আরম্ভ করে বিশ্ব ঘুরে লন্ডন ফিরে গেল তাই নিয়ে একটা গল্প লিখেছেন বিজ্ঞান কল্প কাহিনি লেখক জুলে ভার্ন তার রাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইট্টি ডেজ উপন্যাসে। নায়ক ফ্লিয়াস ফগ ট্রেনে, হেঁটে, উটের পিঠে, জাহাজে, হাতিতে চড়ে বহু কসরত করে ৮০ দিনে কাজটি শেষ করে। সেই ৮০ দিনের পৃথিবী এখন বিমানের কারণে এত ছোট হয়েছে যে, আড়াই দিনে ঘুরে আসা যায়। পৃথিবীর উলটো দিকে একটি চিঠি পাঠাতে এক সময় মাস দুয়েক সময় লাগত। এক সময় কম্পিউটারের কারণে সেটা মুহূর্তেই পৌঁছানো যায়। যেন পাশের ঘরে চিঠি ছুঁড়ে ফেলা হলো। ফেসবুক খুলে দেখা যায়, লন্ডন প্যারিস, বুয়েন্স আয়ার্স এ বসে বন্ধুরা কি করছে। ওরা যেন পাড়ার বন্ধু! স্কাইপি দিয়ে মাগুরা থেকে দুবাই শহরে কথা বলা যাচ্ছে সামনা সামনি। সবাই যেন একই গ্রামে পাশাপাশি আছে।
কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার। গ্লোবাল ভিলেজ শব্দটা দিয়ে আসলে ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবকেই বুঝায়। ইন্টারনেটের ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে এখন তেমন কোনো বাধা ছাড়াই রিয়েল টাইমে যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে। পৃথিবীর সবাই তথ্য প্রবাহের সুপার হাইওয়েতে যুক্ত থাকার ফলে জ্ঞান ও তথ্য সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। Marshall Mcluhan এই বিশ্ব গ্রাম শব্দটিকে তার The Gutenberg Ga..... The Making of Typographic Man (1962) and Understanding Media (1964) বই দুটিতে জনপ্রিয় করে তোলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে পুরো বিশ্বটাই একটি গ্রামে পরিণত হয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম। ইন্টারনেট ব্যবহার করে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কোনো ব্যক্তি নিজেদের মধ্যে মুহূর্তেই অতি সহজে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। বয়স, ধর্ম, বর্ণ, দেশ, জাতি নির্বিশেষে পৃথিবীর প্রায় এক তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষ বর্তমানে এই বিশ্বগ্রামের সদস্য। বিশ্বগ্রাম সৃষ্টিতে অসামান্য অবদান রেখেছে ফেসবুক, ইউটিউব টুইটার ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইটগুলো।
EmoticonEmoticon