একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
প্রিয় পরীক্ষার্থী, আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের ২য় অধ্যায় থেকে সৃজনশীল প্রশ্নোত্তরের নমুনা দেওয়া হলো।
অধ্যায়-২ # করিম সাহেব একজন ব্যবসায়ী। তিনি তাঁর ছোট ভাই মাসুদকে বললেন, আমার অফিসের কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সঙ্গে সংযোগের জন্য যে কেব্ল ব্যবহার করা হয়েছে, তা অর্থসাশ্রয়ী এবং সহজে স্থাপনযোগ্য। তিনি ছোট ভাই মাসুদের অফিসে গিয়ে দেখলেন যে তাঁর অফিসে সেদিন কোনো কম্পিউটার কাজ করছে না। অনুসন্ধানে দেখা গেল, একটি কম্পিউটারের সংযোগ কেব্ল নষ্ট। পরের দিন তিনি তাঁর বড় ভাইয়ের অফিসে গিয়ে দেখলেন, ওই অফিসের সব কম্পিউটার একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত। ক. মডেম কী?
খ. কোন ট্রান্সমিশন মোডে একই সঙ্গে উভয় দিকে ডেটা আদান-প্রদান করা যায়? ব্যাখ্যা করো। গ. করিম সাহেবের অফিসে ব্যবহূত কেব্লটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ঘ. নেটওয়ার্ক সংযোগের ক্ষেত্রে উদ্দীপকে উল্লিখিত ব্যবস্থাদ্বয়ের মধ্যে কোনটি উত্তম? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও। উত্তর: ক মডেম: Modem হলো Modulator-Demodulator-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। মডেম একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যা অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল এবং ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে রূপান্তর করে।
উত্তর: খ ফুল ডুপ্লেক্স মোডে একই সঙ্গে উভয় দিকে ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। যে ডেটা ট্রান্সমিশন মোডে ডেটা উত্স থেকে গন্তব্যের দিকে এবং গন্তব্য থেকে উেসর দিকে একই সঙ্গে প্রবাহিত হয়, তাকে ফুল ডুপ্লেক্স মোড বলে। অর্থাত্ এই পদ্ধতিতে ডেটাপ্রবাহ একই সঙ্গে বা যুগপত্ভাবে সম্পন্ন হয়। যেমন: মোবাইল ফোন, টেলিফোন। উত্তর: গ করিম সাহেবের অফিসের কেব্লটি টুইস্টেড পেয়ার কেব্ল। দুটি পরিবাহী তারকে পরস্পর পেঁচিয়ে টুইস্টেড পেয়ার কেব্ল তৈরি করা হয়। প্যাঁচানো তার দুটিকে পৃথক করে রাখার জন্য এদের মাঝে একটি অপরিবাহী পদার্থ ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য কেবেলর তুলনায় টুইস্টেড পেয়ার কেব্ল অর্থসাশ্রয়ী ও সহজে স্থাপনযোগ্য। উদ্দীপকে দেখা যায়, করিম সাহেবের অফিসের কম্পিউটার পরস্পরের সঙ্গে সংযোগের জন্য যে কেব্ল ব্যবহূত হয়েছে তা অর্থসাশ্রয়ী। সহজে স্থাপনযোগ্য বলে করিম সাহেবের অফিসের কেব্লটি টুইস্টেড পেয়ার কেব্ল।
উত্তর: ঘ নেটওয়ার্ক সংযোগের ক্ষেত্রে উদ্দীপকে উল্লিখিত ব্যবস্থা দুটি হলো রিং টপোলজি ও স্টার টপোলজি। কম্পিউটার নেটওয়ার্কে একটি কম্পিউটারের সঙ্গে অপর একটি কম্পিউটারের সংযোগব্যবস্থাকেই টপোলজি বলে। যে সংযোগে কম্পিউটারগুলো পরস্পর যুক্ত হয়ে একটি বৃত্তাকার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে, তাকে রিং টপোলজি বলে। এই টপোলজিতে একটি কম্পিউটারের সংযোগ নষ্ট হয়ে গেলে কোনো কম্পিউটারেই কাজ করা যায় না। যে সংযোগে একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইসের সঙ্গে অন্যান্য কম্পিউটার সংযুক্ত থাকে, তাকে স্টার টপোলজি বলে। উদ্দীপকে দেখা যায় যে মাসুদ সাহেবের অফিসে সেদিন কোনো কম্পিউটারই কাজ করেনি। কারণ, একটি কম্পিউটারের সংযোগ নষ্ট ছিল। তাই এটি রিং টপোলজি। অন্যদিকে তাঁর বড় ভাই করিম সাহেবের অফিসের সব কম্পিউটার একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত, তাই এটি স্টার টপোলজি। উদ্দীপকের রিং ও স্টার টপোলজির মধ্যে স্টার টপোলজি উত্তম। কারণ, রিং টপোলজিতে কোনো একটি কম্পিউটার কোনো কারণে নষ্ট বা অপসারণ করা হলে পুরো নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে, কিন্তু স্টার টপোলজিতে তা কখনোই হয় না।
মাস্টার ট্রেইনার, প্রভাষক, রাউজান কলেজ, চট্টগ্রাম

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »